চলুন ঘুরে আসি সৌন্দর্যের রানী টাঙ্গুয়ার হাওরে - Cheers Tours and Travel


করোনার ক্লান্তি আর অবসাদ স্বচ্ছ জলে ধুয়ে-মুছে ফেলতে চলুন ঘুরে আসি সৌন্দর্যের রানী টাঙ্গুয়ার হাওরে । দেশের নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমাদের ইভেন্ট পরিচালিত হবে। #ভ্রমনের শুরুতেই সকলকে ২টি করে সার্জিক্যাল মাস্ক দেওয়া হবে,থাকবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। 

Tanguar Haor
Tanguar Haor


#যোগাযোগ: 01684985010

#ইভেন্ট ফি-4500 টাকা।


#আপনি আগ্রহী হলে সম্পূর্ণ ইভেন্টটি পড়ে ট্যুর নিশ্চিত করবেন। #ট্যুর কনফার্ম করতে ৩ অক্টোবরের মধ্যে জনপ্রতি ২০০০টাকা(খরচ সহ)জমা দিয়ে আপনার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবেন। বাকি টাকা বাসে উঠে দিবেন। 


বিকাশ 01918551125 (পারসোনাল) 


টাকা পাঠানোর আগে-পরে ফোন দিয়ে নিশ্চিত করবেন। #ইভেন্ট হোস্টের সাথে দেখা করেও টাকা জমা দিতে পারবেন। # ইভেন্ট হোস্টের সাথে যোগাযোগ; ইয়াসমিন খান মনি 01684985010 01918551125 মিরপুর ১৩. ওপেক্স গার্মেন্টস এর সামনে। 


অনলাইন ইভেন্ট ঃ চলুন ঘুরে আসি সৌন্দর্যের রানী টাঙ্গুয়ার হাওরে 


#মেয়েদের অগ্রাধিকার দিয়ে;আগে নিশ্চিত করার ভিত্তিতে বাসের আসন বিন্যাস করা হবে।

যা যা দেখব –


#টাঙ্গুয়ার হাওড় #নীলাদ্রি লেক (শহীদ সিরাজ লেক) #শিমুল বাগান(বৃষ্টি সমস্যা সৃষ্টি না করলে) #যাদুকাটা নদী #বারিক্কা টিলা #লাকমাছড়া #ওয়াচ টাওয়ার #সুরমা নদীর ব্রিজ হাসন রাজার বাড়ি (সময় সাপেক্ষে)


#টাঙ্গুয়ার হাওড়- মরমী কবি হাসান রাজা যেখানে নৌকায় চড়ে তাঁর অনেক বিখ্যাত গান রচনা করেছেন,প্রকৃতি যেন অকৃপণ হাতে বিলিয়ে দিয়েছে সম্পদ আর অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্য,যেখানে টলমলে জল আকাশের নীল নিয়ে নিত্য খেলা করে, পাহাড়ের কোলে বিশ্রাম নেয় সাদা মেঘের দল, হ্যাঁ আমি টাঙ্গুয়ার হাওরের কথাই বলছি। এলোমেলো হিজল গাছগুলো প্রতিনিয়ত স্নান করে স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে আপনাকে সম্ভাষণ জানাবে। প্রভাতে সূর্য মামা একরাশ হাসি নিয়ে জেগে উঠে পাহাড়ের বুক বেয়ে।রাতে পূর্ণিমা চাদেঁর রূপালী আলো, হিমেল হাওয়া আর জোনাকিরা আপনাকে নিয়ে যাবে এক কল্পনার রাজ্যে। ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের প্রায় ৩০টি ঝর্ণা এসে হাওড়ের সৌন্দর্য বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়েছে। ৯ হাজার ৭২৭হেক্টরের হাওড়টি বর্ষাকালে হয়ে যায় ২০হাজার হেক্টর, তাই বর্ষাকাল ই হাওড় দেখার উপযুক্ত সময়। প্রায় ২০০প্রজাতির মাছ আর ৫০প্রজাতির পাখি এই হাওড়ে বিচরন করে। 


#নীলাদ্রি লেক-(শহীদ সিরাজ লেক) এ যেন বাংলার বুকে একটুকরো কাশ্মির!আকাশের নীল যার গহনা। #যাদুকাটা নদী- অপরূপ সৌন্দর্যের রানী যাদুকাটা নদী। মেঘালয়ের আকাশ চোড়া খাসিয়া পাহাড়ে আছড়ে পড়ছে আবার পাগলা ঘোড়ার মত ছুটে চলছে শুভ্র মেঘমালা,তারই মায়াবী দৃশ্য ফুটে উঠেছে যাদুকাটা নদীর প্রান্তে। ২৩কি.মি দীর্ঘ পাহাড়ী এ নদীর যেন রূপের শেষ নেই।


*যা যা থাকবে - #ঢাকা টু সুনামগঞ্জ যাওয়া আসার গাড়ীর টিকেট (নন এসি, চেয়ার কোচ) #সুনামগঞ্জ থেকে তাহিরপুর যাওয়া-আসা লেগুনা ভাড়া। (রিজার্ভ লেগুনা) #নৌকায় ২দিন ১রাত থাকার ভাড়া। 

#স্থানীয় ট্রান্সপোর্ট খরচ। #আপনি সাতার না জানলেও সমস্যা নেই, আমরা আপনার জন্য লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ করব,যেটা নিয়ে ইচ্ছেমত পানিতে দাপাদাপি করতে পারবেন। #২দিনে ৬বেলা খাবার,( একবেলা সকালের নাস্তা ও আসার দিন রাতের খাবার বিখ্যাত পানসী রেস্তোরাঁয়) #নৌকায় সার্বক্ষণিক মিনারেল ওয়াটার।(যা শুধু আমরাই দিচ্ছি) #আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে চা-নাস্তা তো থাকবেই।


*খাবার মেনু- #সকালে ডিম +পরোটা +ভাজি /মুরগি খিচুরি /ডিম খিচুরি # দুপুর এ দেশি মোরগের গোসত+সালাত+ডাল+সাদা ভাত। #প্রথম রাতে নৌকায় হাওড়ের তাজা মাছ+ডাল+সাদা ভাত। 


#পরদিন সকালে ডিম খিচুরি দুপুর এ মুরগি+ডাল+সাদা ভাত। #আসার রাতে সিলেট, সুনামগঞ্জের বিখ্যাত পানসী রেস্তোরাঁয় ডিনার। প্রয়োজনে খাবার মেনু চেঞ্জ হতে পারে। 


*সুবিধাসমূহ-


#সার্বক্ষনিক মিনারেল ওয়াটার পাচ্ছেন (যা শুধু আমরাই দিচ্ছি)। #লাইফ জ্যাকট পাচ্ছেন ইভেন্টের পক্ষ থেকে। #জ্যোৎস্না স্নাত রাতে দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশিতে মুক্ত আকাশে তারা দেখতে হলে আপনাকে নৌকায় রাত্রীযাপন করতে হবে। আর বইতে থাকবে মৃদুমন্দ বাতাস। #সর্বাধুনিক সুবিধা সম্বলিত নৌকায় থাকবে ছেলে -মেয়ে আলাদা ঘুমানোর ব্যবস্থা, ভালো মানের হাই কমোড ও লো কমোডের বাথরুম ও গোসলখানা। #যেহেতু আমরা নৌকায় থাকব তাই সবার সাথে শেয়ার করে থাকার মানসিকতা থাকতে হবে। #এক থেকে তিন বছরের শিশুদের কোন ফি লাগবে না, তার উপরে আলোচনা সাপেক্ষে।


#ট্যুর প্লান-

*১ম দিন;বৃহস্পতিবার শুরু রাত ১০টায় সায়েদাবাদ থেকে আমাদের যাত্রা শুরু হবে 

>শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জ পৌছে ফ্রেশ হয়ে পানসী রেস্তোরায় নাস্তা করে >রিজার্ভ লেগুনায় তাহিরপুর রওনা

 >মেঘালয়ের খাসিয়া পাহাড়ের সাথে তাল মিলিয়ে কচড়া হাওড়, শনি হাওড় ও মাইট্টান হাওড় পেড়িয়ে আমরা পৌছে যাব তাহিরপুর বাজার

 >ঘাট থেকে ২দিনের বাজার করে এক সাথে নৌকায় উঠব 

>হাওড় দিয়ে প্রথমদিন চলে যাব বারিক্কা টিলা 

>যাদুকাটা নদীতে গোসল করে দুপুরের খাবার খেয়ে >চলে যাব শিমুল বাগান >নৌকায় রাত্রিযাপনের জন্য সন্ধ্যায় চলে আসব টেকেরহাট সংলগ্ন টাঙ্গুয়ার হাওড়ে 

>শনিবার সকালে উঠে নাস্তা করে 

>নীলাদ্রি লেক 

>লাকমাছড়া 

>হাওড়ের ওয়াচ টাওয়ার দেখে হাওড়ের পানিতে গোসল করে দুপুরের খাবার শেষে

 >আমরা আবার ঘাটে ফিরে আসব তাহিরপুর বাজারে। 

>লেগুনায় সুনামগঞ্জ চলে আসব

>সুনামগঞ্জ এসে সময় সাপেক্ষে হাসন রাজার বাড়ি যাব 

>রাতে পানসীতে ডিনার করে 

> কিছুক্ষণ নিজের মত করে সুনামগঞ্জ শহর ঘোরাফিরা

 > রাত ১১টায় পানসীর সামনে থেকে অপেক্ষমাণ গাড়িতে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা

 >রবিবার ভোর ৫/৬টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাব

 > যার যার গন্তব্যে চলে যাব।


বি.দ্র; # যাত্রাবিরতিতে হাইওয়ে রেস্টুরেন্টে এর কোন খরচ ও ব্যক্তিগত খরচ ইভেন্টে থাকছেনা।

Cheers Tours and Travel
Cheers Tours and Travel